ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসআই জনি’র বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ

এসআই জনি’র বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ।

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শাহরাস্তি থানার পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক এসআই জনি দে-র বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

জনি দে-র বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।

২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের দিন শাহরাস্তি থানা থেকে পালিয়ে যান এসআই জনি দে। এর আগে তিনি তৎকালীন শাহরাস্তি উপজেলার স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক মিলনের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা কিশোরগঞ্জের সক্রিয় সদস্য মোঃ নাহিদ পাটোয়ারী একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসআই জনি দে-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে লিখেন, “শুভ জন্মদিন জনি দে দাদা, এসআই শাহরাস্তি মডেল থানা, সাবেক ছাত্রনেতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ” বলে অভিহিত করেন।

Model Hospital

এই পোস্টে জনি দে-কে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়াও, জনি দে-র বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিরোধীদল দমনের অভিযোগ রয়েছে।

শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা এসআই জনি দে-কে ব্যবহার করে জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দায়ের করে হয়রানি ও মোটা অংকের চাঁদা আদায় করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, জনি দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা সম্পৃক্ততা রাখার অনুমতি নেই।

বাংলাদেশ পুলিশ আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৪(৩) অনুযায়ী, কোনো পুলিশ সদস্য রাজনৈতিক প্রভাব গ্রহণ বা প্রয়োগ করতে পারবেন না। ধারা ৩৬-এ বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ প্রবিধানমালা, ১৯৪৩-এর ধারা ১০২ ও ১০৩ অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যদের কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হওয়া বা রাজনৈতিক ব্যক্তির পক্ষে প্রচারণা চালানো নিষিদ্ধ।

এমন পরিস্থিতিতে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এসআই জনি দের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

জনি দে-র বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত, সাময়িক বরখাস্ত, চূড়ান্ত বরখাস্ত বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য এই ধরনের অভিযোগ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্যাগস :

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজীগঞ্জে ইফতার মাহফিল

এসআই জনি’র বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এসআই জনি’র বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ।

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শাহরাস্তি থানার পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক এসআই জনি দে-র বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

জনি দে-র বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।

২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের দিন শাহরাস্তি থানা থেকে পালিয়ে যান এসআই জনি দে। এর আগে তিনি তৎকালীন শাহরাস্তি উপজেলার স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক মিলনের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা কিশোরগঞ্জের সক্রিয় সদস্য মোঃ নাহিদ পাটোয়ারী একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসআই জনি দে-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে লিখেন, “শুভ জন্মদিন জনি দে দাদা, এসআই শাহরাস্তি মডেল থানা, সাবেক ছাত্রনেতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ” বলে অভিহিত করেন।

Model Hospital

এই পোস্টে জনি দে-কে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়াও, জনি দে-র বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিরোধীদল দমনের অভিযোগ রয়েছে।

শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা এসআই জনি দে-কে ব্যবহার করে জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দায়ের করে হয়রানি ও মোটা অংকের চাঁদা আদায় করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, জনি দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা সম্পৃক্ততা রাখার অনুমতি নেই।

বাংলাদেশ পুলিশ আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৪(৩) অনুযায়ী, কোনো পুলিশ সদস্য রাজনৈতিক প্রভাব গ্রহণ বা প্রয়োগ করতে পারবেন না। ধারা ৩৬-এ বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ প্রবিধানমালা, ১৯৪৩-এর ধারা ১০২ ও ১০৩ অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যদের কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হওয়া বা রাজনৈতিক ব্যক্তির পক্ষে প্রচারণা চালানো নিষিদ্ধ।

এমন পরিস্থিতিতে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এসআই জনি দের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

জনি দে-র বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত, সাময়িক বরখাস্ত, চূড়ান্ত বরখাস্ত বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য এই ধরনের অভিযোগ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।