ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরের ৬ মডেল মসজিদে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২০ লাখ টাকা

চাঁদপুরের মডেল মসজিদগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। জেলার ৯টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৬টিতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি বকেয়া কচুয়া উপজেলা মডেল মসজিদে। গত তিন বছরে মসজিদটিতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।

কচুয়া মডেল মসজিদের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. হাসান মজুমদার জানান, তাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। প্রতি মাসে ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখানে সাব-স্টেশন স্থাপন করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও বিল আসার কথা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতি মাসে বিল আসে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। অথচ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় টাকা ওঠে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। শুরুতে কিছু বিল তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছিল।

ফিল্ড সুপারভাইজার আরও বলেন, ‘মডেল মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যাটাগরি মতে ১১ জনের একটি কমিটি রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় কেউ দায়িত্ব নিতে চান না। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস ছাড়াও হাফেজিয়া মাদ্রাসা, ইমাম প্রশিক্ষণ ও ইসলামিক পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।’

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. বেলায়েত হোসেন জানান, কচুয়া মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না তিন বছর ধরে।

Model Hospital

এ ছাড়া হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি মডেল মসজিদেরও বিল বকেয়া রয়েছে। তিনটিতে প্রায় ১২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. রাশেদুজ্জামান জানান, তাদের এলাকায় চারটি মডেল মসজিদ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলা মডেল মসজিদ। মতলব উত্তরের মডেল মসজিদে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি। বাকি তিনটিতে বিল বকেয়া ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসাবরক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান জানান, চাঁদপুরের ৯টি মডেল মসজিদ। জেলা মডেল মসজিদ এখনও হয়নি। বাকি আট উপজেলায় ৮টির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি এখনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। সদর উপজেলা মডেল মসজিদে এখন জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। এই মসজিদে মিটার সিস্টেমে বিল পরিশোধ করতে হয়। ইতোমধ্যে তাদের বাজেটও শেষ পর্যায়ে। উপজেলা মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বকেয়া বিল বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ টাকা। গেল নভেম্বরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তথ্যে প্রায় ১৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজীগঞ্জে ইফতার মাহফিল

চাঁদপুরের ৬ মডেল মসজিদে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২০ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদপুরের মডেল মসজিদগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। জেলার ৯টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৬টিতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি বকেয়া কচুয়া উপজেলা মডেল মসজিদে। গত তিন বছরে মসজিদটিতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।

কচুয়া মডেল মসজিদের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. হাসান মজুমদার জানান, তাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। প্রতি মাসে ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখানে সাব-স্টেশন স্থাপন করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও বিল আসার কথা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতি মাসে বিল আসে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। অথচ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় টাকা ওঠে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। শুরুতে কিছু বিল তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছিল।

ফিল্ড সুপারভাইজার আরও বলেন, ‘মডেল মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যাটাগরি মতে ১১ জনের একটি কমিটি রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় কেউ দায়িত্ব নিতে চান না। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস ছাড়াও হাফেজিয়া মাদ্রাসা, ইমাম প্রশিক্ষণ ও ইসলামিক পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।’

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. বেলায়েত হোসেন জানান, কচুয়া মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না তিন বছর ধরে।

Model Hospital

এ ছাড়া হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি মডেল মসজিদেরও বিল বকেয়া রয়েছে। তিনটিতে প্রায় ১২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. রাশেদুজ্জামান জানান, তাদের এলাকায় চারটি মডেল মসজিদ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলা মডেল মসজিদ। মতলব উত্তরের মডেল মসজিদে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি। বাকি তিনটিতে বিল বকেয়া ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসাবরক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান জানান, চাঁদপুরের ৯টি মডেল মসজিদ। জেলা মডেল মসজিদ এখনও হয়নি। বাকি আট উপজেলায় ৮টির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি এখনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। সদর উপজেলা মডেল মসজিদে এখন জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। এই মসজিদে মিটার সিস্টেমে বিল পরিশোধ করতে হয়। ইতোমধ্যে তাদের বাজেটও শেষ পর্যায়ে। উপজেলা মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বকেয়া বিল বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ টাকা। গেল নভেম্বরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তথ্যে প্রায় ১৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।