ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরের তরপুরচন্ডী বিএনপির কমিটি পুনবর্হালের দাবীতে মানববন্ধন

সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি পুনবর্হালে দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি পুনবর্হালে দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে ইউনিয়নের কাজীপাড়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ৩নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, গত ৩১ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজালাল মিশন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট জসিম উদ্দীন, কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও আক্তার হোসেন সাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে সাবেক সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কাজীকে পুনরায় ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন আন্টুকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক ও বিল্লাল মিজিকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। অথচ ২ মাস না যেতেই গোপনে সেই কমিটি পরিবর্তন করে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আন্টুকে সভাপতি এবং পতিত আওয়ামী লীগের দোসর মাসুদ কাজীকে সাধারণ সম্পাদক করার চেষ্টা চলছে। যা সাংগঠনিক নিয়মবহির্ভূত এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ‌আমরা সম্বলের মাধ্যমে গঠিত কমিটির পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হব।

Model Hospital

এ বিষয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষিত ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কাজী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বহুদিন ধরে এই ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপি রাজনীতি করতে গিয়ে স্বৈরাচার আওমি সরকারের হামলা মামলার শিকার হয়েছি। ‌‌ বিএনপি করার অপরাধে ঢাকায় আওয়ামী লীগের লোকেরা আমাকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিয়েছে। ২২ লক্ষ টাকার মালামাল ফেলে খালি হাতে পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের এলাকায় চলে এসেছি।

তিনি আরো বলেন, ৩১ জানুয়ারি ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপজেলা নেতৃবৃন্দরা আমাকে সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আন্টুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। এই নিউজ পত্রপত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে আমরা সে তালিকা ইউনিয়ন বিএনপি কাছে জমা দেই। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ নাজমুল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত মিজি আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। সে টাকা দিতে না পারায় তারা কমিটির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ২-৩ দিন যাবত শুনতে পাচ্ছি শুধুমাত্র আমার নাম বাদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আন্টুকে সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের দোষদ মাসুদ কাজীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন একটি কমিটি গঠন করছে। আমি বিষয়টি সদর উপজেলা নেতৃবৃন্দ এবং আমাদের চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সাহেবকে অবগত করেছি। আমি আশা করব আমাদের অভিভাবকরা আমার প্রতি সুবিচার করবেন এবং আমাকে সভাপতি পদে পুনবহাল রাখবেন।

এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন আন্টু বলেন, কমিটিতে কে দায়িত্ব পাবে, না পাবে সেটি নির্ধারণ করবে উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। তবে আমি দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে আমি অর্থ, শ্রম-ঘাম দিয়েছি।আওয়ামী লীগের হামলা মামলা শিকার হয়েছি। তবুও শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে অটুট থেকে দল করেছি। ‌আমার বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করেই ইউনিয়ন এবং উপজেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে আমার প্রাপ্য পদে ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিবেন, সে বিশ্বাস রাখি।

ট্যাগস :

মতলব উত্তরে গন অধিকার পরিষদের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

চাঁদপুরের তরপুরচন্ডী বিএনপির কমিটি পুনবর্হালের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি পুনবর্হালে দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে ইউনিয়নের কাজীপাড়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ৩নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, গত ৩১ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজালাল মিশন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট জসিম উদ্দীন, কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও আক্তার হোসেন সাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে সাবেক সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কাজীকে পুনরায় ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন আন্টুকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক ও বিল্লাল মিজিকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। অথচ ২ মাস না যেতেই গোপনে সেই কমিটি পরিবর্তন করে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আন্টুকে সভাপতি এবং পতিত আওয়ামী লীগের দোসর মাসুদ কাজীকে সাধারণ সম্পাদক করার চেষ্টা চলছে। যা সাংগঠনিক নিয়মবহির্ভূত এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ‌আমরা সম্বলের মাধ্যমে গঠিত কমিটির পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হব।

Model Hospital

এ বিষয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষিত ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কাজী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বহুদিন ধরে এই ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপি রাজনীতি করতে গিয়ে স্বৈরাচার আওমি সরকারের হামলা মামলার শিকার হয়েছি। ‌‌ বিএনপি করার অপরাধে ঢাকায় আওয়ামী লীগের লোকেরা আমাকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিয়েছে। ২২ লক্ষ টাকার মালামাল ফেলে খালি হাতে পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের এলাকায় চলে এসেছি।

তিনি আরো বলেন, ৩১ জানুয়ারি ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপজেলা নেতৃবৃন্দরা আমাকে সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আন্টুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। এই নিউজ পত্রপত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে আমরা সে তালিকা ইউনিয়ন বিএনপি কাছে জমা দেই। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ নাজমুল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত মিজি আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। সে টাকা দিতে না পারায় তারা কমিটির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ২-৩ দিন যাবত শুনতে পাচ্ছি শুধুমাত্র আমার নাম বাদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আন্টুকে সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের দোষদ মাসুদ কাজীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন একটি কমিটি গঠন করছে। আমি বিষয়টি সদর উপজেলা নেতৃবৃন্দ এবং আমাদের চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সাহেবকে অবগত করেছি। আমি আশা করব আমাদের অভিভাবকরা আমার প্রতি সুবিচার করবেন এবং আমাকে সভাপতি পদে পুনবহাল রাখবেন।

এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন আন্টু বলেন, কমিটিতে কে দায়িত্ব পাবে, না পাবে সেটি নির্ধারণ করবে উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। তবে আমি দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে আমি অর্থ, শ্রম-ঘাম দিয়েছি।আওয়ামী লীগের হামলা মামলা শিকার হয়েছি। তবুও শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে অটুট থেকে দল করেছি। ‌আমার বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করেই ইউনিয়ন এবং উপজেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে আমার প্রাপ্য পদে ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিবেন, সে বিশ্বাস রাখি।