মনিরুল ইসলাম মনির : দুই বছর আগে মতলব উত্তরের আলুর ভালো দাম পেয়েছিলেন চাষিরা। তাই গত বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলুর আবাদ করেন তাঁরা। তবে আলুতে এ বছর বেশির ভাগ চাষি লোকসান গুনেছেন। আগামী বছর লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন, এমন আশায় আবারও মাঠে নেমেছেন আলুচাষিরা।
জানা যায়, এক বিঘায় আলু উৎপাদন হয় ৮০ থেকে ১০০ মণ। গত বছর রোপিত আলু চলতি বছরে কৃষকেরা সাড়ে তিন শ থেকে সাড়ে চার শ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। বিঘাপ্রতি খরচের চেয়ে কৃষকেরা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা কম দামে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ এক বস্তা আলুর কোল্ডস্টোরেজ ভাড়া তিন শ টাকা। একটি পাটের বস্তার দাম ৮০ টাকা এবং আলু নিয়ে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া বাবদ তাঁদের ৪০০ টাকা খরচ হয়। তাই কৃষকেরা লোকসান হলেও আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বীজআলু ও শ্রমিকের মজুরি এ বছর হয়েছে দ্বিগুণ। এর ওপর সংকট দেখিয়ে সারের দাম বেশি নিচ্ছেন ডিলারেরা। তাই এবার প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদনে খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
আলুচাষি জিল্লু বকাউল বলেন, গত বছরে রোপণ করা আলুর এ বছর বাজারমূল্য ছিল কম। কম দাম পেয়ে অধিকাংশ চাষি লোকসান গুনেছেন। অনেক চাষি ঋণে জর্জরিত। তাই অনেকেই এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু চাষ করছেন না। তবে আগামী বছর দাম ভালো পাওয়ার আশায় কেউ কেউ ঋণ নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, চলতি বছরে চাষিরা আলুর দাম কিছুটা কম পেয়েছেন। ফলে গত বছরের চেয়ে এ বছর চাষিরা আলু চাষে কম আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে এবার কত হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করা হচ্ছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। রোপণ পুরোপুরি শেষ হলে বলা সম্ভব। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবং চাষিরা সময়মতো আলুখেতে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে এ বছরও আলুর উৎপাদন ভালো হবে।