ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাছে গাছে ঝুলছে সুস্বাদু ফল কাঁঠাল

মনিরুল ইসলাম মনির : গ্রীষ্ম মৌসুমের অন্যতম রসালো ও জাতীয় ফল হচ্ছে কাঁঠাল। ছোট বড় সবাই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠাল পাকা খাওয়ার পাশাপাশি মানুষের কাছে এই প্রিয় ফল ও তরকারী হিসেবে যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে।

Model Hospital

বিশেষ করে কাঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি ভর্তা সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। কাঁঠালের বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর একটি খাবার।
ছেংগারচর পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। বর্ষায় পানি জমায় এখানে কাঁঠাল গাছ মরে না সহসায়। মতলব উত্তর উপজেলাকে যেন এক প্রকার প্রকৃতি দিয়ে যেন সাজানো হয়েছে।

গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়িতে, রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল। কিছু দিনের মধ্যে মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে হাট বাজার। তবে কিছু হাটে বর্তমানে অল্প সংখ্যক কাঁঠাল ফল উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমের তুলনায় এখন দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরচর, নাউরী, আমুয়াকান্দি, রাড়ীকান্দি, মাথাভাঙ্গা’সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তায় ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছের গোঁড়া থেকে আগা পযর্ন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল। এক একটি গাছে ১৫-৩০ টির মতো কাঁঠাল ধরেছে।

মাথাভাঙ্গা এলাকার দৌলত হোসেন আবির বলেন, আমার ১৩টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে গাছগুলোতে। আমরা কিছু কাঁঠাল বিক্রি করি, কিছু খাই ও কিছু মানুষকে বিলিয়ে দেই।

মিরাজ নামের কলেজ শিক্ষার্থী বলে, আমাদের বাড়ির চারপাশে পাঁচটি কাঁঠাল গাছ আছে। প্রতি বছর আমরা পরিবারের সবাই খেয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকি। প্রতিবছর কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কিনে নিয়ে যান।
সাংবাদিক ইসমাইল খান টিটু বলেন, কাঁঠাল আমার একটি প্রিয় ফল। এটি অত্যধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। কাঁঠালের কোনো অংশই পরিত্যক্ত থাকে না।

দেওয়ানজিকান্দি এলাকার মো. দুলাল মিয়া বলেন, বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়, খোলা জায়গায় তার ৮টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ১৫-২০টির মত কাঁঠাল এসেছে। গাছের কাঁঠালে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে পাকতে আরো প্রায় এক মাস সময় লাগবে। তবে অন্য বছরের চাইতে এবার গাছে অনেক কাঁঠাল কম এসেছে বলে জানায়।

এখলাছপুর এলাকার রেহান উদ্দিন নেতা বলেন, পুকুরপাড় ও বাড়ির আশপাশে ১২টি গাছ রয়েছে। গত বছরের চাইতে এবার কাঁঠাল তুলনামূলক কম আসলেও নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ভাল টাকা আয় হবে।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় প্রচুর কাঁঠাল গাছ রয়েছে। ফলনও ভালো হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও বিক্রি করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে যিনি আসবেন তাঁকে বিজয়ী করতে হবে: মোস্তফা খান সফরী

গাছে গাছে ঝুলছে সুস্বাদু ফল কাঁঠাল

আপডেট সময় : ০৪:৫০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

মনিরুল ইসলাম মনির : গ্রীষ্ম মৌসুমের অন্যতম রসালো ও জাতীয় ফল হচ্ছে কাঁঠাল। ছোট বড় সবাই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠাল পাকা খাওয়ার পাশাপাশি মানুষের কাছে এই প্রিয় ফল ও তরকারী হিসেবে যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে।

Model Hospital

বিশেষ করে কাঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি ভর্তা সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। কাঁঠালের বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর একটি খাবার।
ছেংগারচর পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। বর্ষায় পানি জমায় এখানে কাঁঠাল গাছ মরে না সহসায়। মতলব উত্তর উপজেলাকে যেন এক প্রকার প্রকৃতি দিয়ে যেন সাজানো হয়েছে।

গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়িতে, রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল। কিছু দিনের মধ্যে মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে হাট বাজার। তবে কিছু হাটে বর্তমানে অল্প সংখ্যক কাঁঠাল ফল উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমের তুলনায় এখন দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরচর, নাউরী, আমুয়াকান্দি, রাড়ীকান্দি, মাথাভাঙ্গা’সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তায় ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছের গোঁড়া থেকে আগা পযর্ন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল। এক একটি গাছে ১৫-৩০ টির মতো কাঁঠাল ধরেছে।

মাথাভাঙ্গা এলাকার দৌলত হোসেন আবির বলেন, আমার ১৩টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে গাছগুলোতে। আমরা কিছু কাঁঠাল বিক্রি করি, কিছু খাই ও কিছু মানুষকে বিলিয়ে দেই।

মিরাজ নামের কলেজ শিক্ষার্থী বলে, আমাদের বাড়ির চারপাশে পাঁচটি কাঁঠাল গাছ আছে। প্রতি বছর আমরা পরিবারের সবাই খেয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকি। প্রতিবছর কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কিনে নিয়ে যান।
সাংবাদিক ইসমাইল খান টিটু বলেন, কাঁঠাল আমার একটি প্রিয় ফল। এটি অত্যধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। কাঁঠালের কোনো অংশই পরিত্যক্ত থাকে না।

দেওয়ানজিকান্দি এলাকার মো. দুলাল মিয়া বলেন, বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়, খোলা জায়গায় তার ৮টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ১৫-২০টির মত কাঁঠাল এসেছে। গাছের কাঁঠালে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে পাকতে আরো প্রায় এক মাস সময় লাগবে। তবে অন্য বছরের চাইতে এবার গাছে অনেক কাঁঠাল কম এসেছে বলে জানায়।

এখলাছপুর এলাকার রেহান উদ্দিন নেতা বলেন, পুকুরপাড় ও বাড়ির আশপাশে ১২টি গাছ রয়েছে। গত বছরের চাইতে এবার কাঁঠাল তুলনামূলক কম আসলেও নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ভাল টাকা আয় হবে।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় প্রচুর কাঁঠাল গাছ রয়েছে। ফলনও ভালো হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও বিক্রি করা হয়।