তৃনমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকের মতামতের ভিত্তিতে তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিষয়টি জানান দিয়েছেন, প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে যাচ্ছেন, দোয়া চাওয়া অব্যাহত রেখেছেন।
দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করা ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের এই সদস্যের স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, অভিঙ্গতা ও পরিচিতি অন্য প্রার্থীর চেয়ে অনেকটাই বেশি। ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য জহিরুল ইসলাম খান নয়নের বাবা প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আক্তার হোসেন খান। তার পুরো পরিবার জড়িয়ে আছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে।
চাঁদপুর জেলা ও উপজেলার পাশ্ববর্তি এলাকাগুলোতে রয়েছে জহিরুল ইসলাম খান নয়ন ও তার পরিবারের ব্যাপক পরিচিতি ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তি। সদা হাস্যজ্জল এই উদীয়মান, সুশিক্ষিত, প্রার্থীকে নেতাকর্মীরা চাঁদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।
জামাত বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্
আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২২ চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একটি যোগ্য ও আধুনিক সংগঠন গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এই নেতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হতে চান
মোঃ জহিরুল ইসলাম খান নয়ন ১৯৯১-১৯৯৬ ইং সালে পর্যন্ত খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। অগনিত বার পুলিশ ও বিএনপি’র হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের হরতালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতে চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ী শাপলা চত্বর সামনে গুরুত্বর আহত হয়ে সদর হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বি.এন.পি জামায়াত সঙ্গবদ্ধ হয়ে তার নিজ বাসা ষ্টেডিয়াম রোড, সোনালী গেইট খান মহল ভাংচুর করেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্যানতের শিকার হয়েছেন। ২০০৬-২০০৮ সাল পর্যন্ত মইনুল ফকরুলের দুঃশাসন ১/১১ এ জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন পাল্লামেন্টের সামনে মানববন্ধন করেন এবং নেদারল্যন্ডের পার্লামেন্ট থেকে আইসিসি আদালতে মানবতা বিরুদ্ধী যুদ্ধ অপরাধিদের বিচারের দাবিতে জহিরুল ইসলাম খান নয়নের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মামলা হামলা নির্যাতন সত্বেও এ
নেতা কর্মীরা জানান, চাঁদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জহিরুল ইসলাম খান নয়ন ছাড়াও আরো একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য, স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, পরিচিত ও অভিঙ্গতায় তিনি এগিয়ে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা জানান, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জন্য রয়েছে অফুরন্ত ভালোবাসা।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম খান নয়ন বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, একজন রাজনৈতিক কর্মি। পারিবারিক ভাবেই মানুষের সেবা করার শিক্ষা পেয়েছি।
উল্লেখ্য: কর্মীবান্ধব এই নেতা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, চাঁদপুর শহর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, চাঁদপুর পৌর শাখার সভাপতি, লক্ষীপুর খান বাড়ি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক, আলহামুদিল্লা মনোয়ার মাদরাসা ও এতিমখানার সভাপতি এবং চাঁদপুর জেলা ডায়াবেটিস হাসপাতাল আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, চাঁদপুর শহর শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের আহবায়ক, চাঁদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, ৯১ সালের নৌকা মার্কা নিবার্চনের কেন্দ্র কমিটির সদস্য, ২০২০ সালের চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র নির্বাচনে বিষ্ণুদী মাদ্রাসা কেন্দ্রের কমিটির সদস্য, স্পেন আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য সচিব, সাবেক সদস্য, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, শেখ হাসিনা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ, স্পেন শাখার সভাপতি, বাংলাদেশ কমিউনিটি স্পেনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নির্বাচিত সহ- সভাপতি, স্পেন বাংলাদেশ ব্যবসা ও বণিক সমিতির সভাপতি এবং স্পেন সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের দলীয় সভাপতি হিসেবে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।