সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রী- বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার কল্যান ট্রাস্ট এর সদস্য সচিব, বাগাদি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল।
তৃনমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকের মতামতের ভিত্তিতে তিনি সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিষয়টি জানান দিয়েছেন, প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন, আওয়ামী লীগ পরিবারের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা এবং পচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জামাত বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্
আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২২ চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একটি যোগ্য ও আধুনিক সংগঠন গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সদা হাস্যজ্জল এই উদীয়মান, সুশিক্ষিত, প্রার্থীকে নেতাকর্মীরা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করতে চায়।
দীর্ঘদিন রাজনৈতিক ও রাজপথ থেকে উঠে আসা এই সদস্যের স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, অভিঙ্গতা ও পরিচিতি অন্য প্রার্থীর চেয়ে অনেকটাই বেশি।
বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লালের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রব মাষ্টার। তার পুরো পরিবার জড়িয়ে আছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে।
চাঁদপুর জেলা ও উপজেলার পাশ্ববর্তি এলাকাগুলোতে রয়েছে বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল ও তার পরিবারের ব্যাপক পরিচিতি ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তি।
বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল এলাকার মানবসেবার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি এলাকায় দলীয় লোকজন ছাড়াও জনসাধারণ, শিক্ষক, ছাত্র ও সাধারণ মানুষসহ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। অত্যন্ত নম্রভদ্র বিনয়ী ও সেবাকর্মী বান্ধব এই আওয়ামীলীগ নেতা।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা জানান, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জন্য রয়েছে অফুরন্ত ভালোবাসা।
বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে অগনিত বার পুলিশ ও বিএনপি’র হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। মামলা হামলা নির্যাতন সত্বেও এ সাহসী যোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে দলীয় সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
নেতা কর্মীরা জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল ছাড়াও আরো একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য, স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, পরিচিত ও অভিঙ্গতায় তিনি এগিয়ে।
এক প্রতিক্রিয়ায় বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল বলেন আমি একজন রাজনৈতিক কর্মি। ১৯৭৭ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে আমার রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয়। জিয়া ও এরশাদের সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করেছি। পারিবারিক ভাবেই মানুষের সেবা করার শিক্ষা পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের বিপদে আপদে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পাশে থেকেছি। কখনো নিজেকে নেতা হিসাবে মনে করিনি। কখনও ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। আওয়ামীলীগ মানেই অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, আওয়ামী লীগ মানেই আর্ত-মানবতার সেবায় সকলের পাশে থেকে কাজ করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেই দেশপ্রেম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আজ সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তব করে যাচ্ছে। আমি একজন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্দেশনা অনুযায়ী আমার প্রিয় নেত্রী নির্দেশনা ও চাহিদা অনুযায়ী আমার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। যার সুফল ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়ন বাসি পাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ত নিরাপদ।
উল্লেখ্য, বেলায়েত হোসেন গাজী (বিল্লাল) ১৯৭৭ সালে চাঁদপুর শহরের গণি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াবস্থায় জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। স্কুলে পড়াবস্থায় গণি উচ্চ বিদ্যালয় জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রজীবনে জাসদ ছাত্রলীগের পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, জাসদ ছাত্রলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করার পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ওই বছরই তিনি তৎকালীন আওয়ামী যুবলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এরপর ২০০৪ সালের ১মার্চ জেলা যুবলীগের সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সময় সারা বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলনে ভোটাভুটি হয়। এই দায়িত্ব তিনি ২০১৩ সাল পর্যন্ত পালন করেন। পরবর্তীতে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
তিনি ১৯৯৩ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। একইভাবে ১৯৯৮ সালে ওই ইউনিয়ন পরিষদে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৬ সাল থেকে অদ্যাবধি একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। মোট ৪ বার বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার কল্যান ট্রাস্ট এর সদস্য সচিবের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।