১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পযর্ন্ত ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০২৪ বাস্তবায়ন বিষয়ক হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২ ঘটিকায় হাইমচর উপজেলা সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ এর পরিচালনা বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ. বি. এম. আশরাফুল হক, হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসিন, নীলকমল নৌ পুলিশ পাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ মুন্নাফ, লামচরী স্টেশন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কন্টিনেন্ট কমান্ডার মোঃ রব্বানী, ৩নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সর্দার আবদুল জলিল মাস্টার, হাইমচর প্রেসক্লাব সদস্য সচিব সাহেদ হোসেন দিপু পাটোয়ারী, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রেজাউল করিম বেপারী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চরভৈরবী মৎস্য আড়তের সভাপতি ইউপি সদস্য মমিন দালাল, দক্ষিণ ইউনিয়নের জেলে প্রতিনিধি মুক্তার আহমেদ দর্জি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আপনারা যারা জেলে রয়েছেন এই ইলিশ মাছের সাথে কিন্তু আপনাদের জীবন ও জীবিকা জড়িত। নদীতে মাছ না থাকলে কিন্তু আপনাদের ক্ষতি হবে। আপনাদের জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য, এই হাইমচরের উন্নয়নের জন্য আপনারা ২২ দিন লোভ টাকে সংবেদন করেন। এবং মাছ ধরা বন্ধ রাখেন। একটি ইলিশ মাছের পেটে ১৮ থেকে ২০ লক্ষ ডিম থাকে, এই ২২ দিন যদি আপনারা মাই ইলিশ ধরা বন্ধ রাখেন তাহলে চিন্তা করেন নদীতে কি পরিমানে ইলিশ মাছ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চর অঞ্চলে একটি অস্থায়ী ক্যাম করার চিন্তা করতেছি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ের এই ক্যাম্পটি গঠন করা হবে। এবং ২৪ ঘন্টা নদীতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড,নৌ পুলিশ টহলরত অবস্থায় থাকবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মানিক বিশ্বাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী জনি, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক এবং জেলে প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান- ২০২৪ বাস্তবায়নে মৎস্যজীবীদের সাথে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।