ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে

হাইমচরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ, আহত ৬

জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা ও বসত ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৭ টার সময় উপজেলার উত্তর আলগী গ্রামের বাচ্চু মিজি বাড়ির সামনে দোকানে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রথমে চাঁদপুর পরে ঢাকায় রেপার করা হয়েছে। বসত ঘরে অগ্নি সংযোগের বিষয়ে রয়েছে ধুঁয়াশা। আগুন লাগানো বিষয়ে উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারপ করারও অভিযোগ রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানাজায়, বাচ্চু মিজি ও নুরুল আমিন মিজি সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাই। তাদের মাঝে জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাদের দুপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমির দলীল উঠানোর জন্য বাচ্চু মিজি নুরুল আমিন মিজির নিকট ২ হাজার টাকা দেন। নুরুল আমিন মিজি দলীলের নকল না দেয়ায় বাচ্চু মিজির সাথে গত সোমবার সন্ধায় দুজনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। শাহলম মিজির ছেলে রাকিব নুরুল আমিন মিজির গায়ে হাত উঠায়। স্থানীয় লোকজন মিলমিস করে দেন।

Model Hospital

পরেরদিন সকাল ৭ টার সময় নুরুল আমিন মিজি, মোহাম্মদ আমিন মিজি ও ইব্রাহিম মিজিরা তাদের ছেলে ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে নিয়ে এসে খোরশেদ মিজির উপর হামলা চালায়। এর পর পরই দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেপার করেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকায় রেপার করেন।

খোরশেদ আলম মিজির অবস্থা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। তবে বসত ঘরে আগুন লাগানোর বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের লোকই আহত হয়। এক পক্ষ কম আরেক পক্ষ বেশি। বাচ্চু মিজিরা লোকজন কম থাকায় তারা নুরুল আমিন মিজিদের হামলায় গুরুতর আহত হয় বেশি। তবে নুরুল আমিন মিজির লোকেরা বাচ্চু মিজির ঘরে আগুন দেয়নি এটাও সত্য।

শাহলম মিজির ছেলে রাকিব জানান, আমার বাবা শাহলম মিজি ও খোরশেদ চাচা সকালে নাস্তা করতে দোকানে গেলে নুরুল আমিন মিজি লোকজন নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। আমার বাবাকে ও চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে নুরুল আমিন মিজি ও তার ছেলেরা এসে আমাদের বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহযোগীতা চাইলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তখন বাড়ির লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভায়।

নুরুল আমিন মিজির ছেলে জুয়েল জানান, গতকাল সন্ধ্যায় আমার বাবা চায়ের দোকানে গেলে বাবার সাথে শাহলম মিজির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তখন শাহলম মিজির ছেলে রাকিব আমার বাবার গায়ে হাত তোলে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে পরদিন সকালে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা পুনরায় উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাদের ওপর পাল্টা হামলা করি। পরে তারা আমাদেরকে ফাঁষানোর জন্য নিজেদের ঘরে নিজেরা আগুন লাগায়।

হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জানান, উত্তর আলগী গ্রামে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ হয় না। অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজীগঞ্জে ইফতার মাহফিল

জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে

হাইমচরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ, আহত ৬

আপডেট সময় : ১০:০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা ও বসত ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৭ টার সময় উপজেলার উত্তর আলগী গ্রামের বাচ্চু মিজি বাড়ির সামনে দোকানে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রথমে চাঁদপুর পরে ঢাকায় রেপার করা হয়েছে। বসত ঘরে অগ্নি সংযোগের বিষয়ে রয়েছে ধুঁয়াশা। আগুন লাগানো বিষয়ে উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারপ করারও অভিযোগ রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানাজায়, বাচ্চু মিজি ও নুরুল আমিন মিজি সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাই। তাদের মাঝে জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাদের দুপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমির দলীল উঠানোর জন্য বাচ্চু মিজি নুরুল আমিন মিজির নিকট ২ হাজার টাকা দেন। নুরুল আমিন মিজি দলীলের নকল না দেয়ায় বাচ্চু মিজির সাথে গত সোমবার সন্ধায় দুজনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। শাহলম মিজির ছেলে রাকিব নুরুল আমিন মিজির গায়ে হাত উঠায়। স্থানীয় লোকজন মিলমিস করে দেন।

Model Hospital

পরেরদিন সকাল ৭ টার সময় নুরুল আমিন মিজি, মোহাম্মদ আমিন মিজি ও ইব্রাহিম মিজিরা তাদের ছেলে ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে নিয়ে এসে খোরশেদ মিজির উপর হামলা চালায়। এর পর পরই দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেপার করেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকায় রেপার করেন।

খোরশেদ আলম মিজির অবস্থা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। তবে বসত ঘরে আগুন লাগানোর বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের লোকই আহত হয়। এক পক্ষ কম আরেক পক্ষ বেশি। বাচ্চু মিজিরা লোকজন কম থাকায় তারা নুরুল আমিন মিজিদের হামলায় গুরুতর আহত হয় বেশি। তবে নুরুল আমিন মিজির লোকেরা বাচ্চু মিজির ঘরে আগুন দেয়নি এটাও সত্য।

শাহলম মিজির ছেলে রাকিব জানান, আমার বাবা শাহলম মিজি ও খোরশেদ চাচা সকালে নাস্তা করতে দোকানে গেলে নুরুল আমিন মিজি লোকজন নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। আমার বাবাকে ও চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে নুরুল আমিন মিজি ও তার ছেলেরা এসে আমাদের বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহযোগীতা চাইলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তখন বাড়ির লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভায়।

নুরুল আমিন মিজির ছেলে জুয়েল জানান, গতকাল সন্ধ্যায় আমার বাবা চায়ের দোকানে গেলে বাবার সাথে শাহলম মিজির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তখন শাহলম মিজির ছেলে রাকিব আমার বাবার গায়ে হাত তোলে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে পরদিন সকালে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা পুনরায় উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাদের ওপর পাল্টা হামলা করি। পরে তারা আমাদেরকে ফাঁষানোর জন্য নিজেদের ঘরে নিজেরা আগুন লাগায়।

হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জানান, উত্তর আলগী গ্রামে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ হয় না। অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।