ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও জমকালো মনোমুগ্ধকর আয়োজনে হাইমচর আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ বৃহস্পতিবার সকালে হাইমচর আইডিয়াল স্কুল মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাইমচর আইডিয়াল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও স্কুলের সাবেক সহকারী শিক্ষক শরীফ মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।
তিনি বলেন, নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা শিশুদের উদ্দীপনা, কর্মক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে। শারীরিক শক্তি ও মানসিক চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হল খেলাধুলা। খেলাধুলাই একমাত্র সুস্থ শরীর গঠন, সঠিক ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও মানসিক বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই শিশুর শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশ ও হতে থাকে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক সুস্থতাও।

শারীরিক শক্তি ও মানসিক চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে খেলাধুলা। এটি শিশুদের শারীরিক, জ্ঞানীয়, সামাজিক এবং মানসিক বিকাশসহ বিভিন্ন উপায়ে শিখতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। খেলাধুলা শিশুদের সৃজনশীলতা এবং কল্পনা বিকাশেও সহায়তা করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা কামাল, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, সহকারী শিক্ষা অফিসার এ কে এম মিজানুর রহমান, জুলফিকার আলী জনি, একাডেমিক সুপারভাইজার আহসানুল হক, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ হাইমচর সাব জেনাল অফিসের এজিএম মোঃ হাফিজুর রহমান, হাইমচর প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোঃ শাহেদ হোসেন দিপু, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়া শপথ পাঠ করান স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। এরপর প্যারেড কমান্ডার তানিনুল ইসলামের নেতৃত্বে মাঠ পাচ সহ চমৎকার দৃশ্যের সূচনা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন খেলা পরিচালনা করা হয়। অভিভাবকদের জন্য অন্ধের হাড়িভাঙ্গা, বল নিক্ষেপ সহ সমগ্র অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল নানা আয়োজন।
দুপুরে নামাজ ও খাওয়ার বিরতির পর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ইভেন্ট ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো। এ ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা ফুটিয়ে তুলেছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের বীর মুক্তিযুদ্ধ, বৃদ্ধাশ্রম ও বাল্য বিয়ের ক্ষতিকর দিক, জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিকথা, আবু সাঈদ বিরমুগ্ধ ও শহীদদের স্মরণে সেজেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ। বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং অন্যান্যদের জন্য সান্তনা পুরস্কার প্রদান করা হয়।