ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে স্কুল শিক্ষকের দ্বন্ধের অবসান !

নিজস্ব প্রতিনিধি : হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজীর সাথে স্কুল শিক্ষক ফারুক হোসেনের দ্বন্ধের অবসান হয়েছে বলে উভয়ে জানিয়েছেন।

Model Hospital

সোমবার দুপুরে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই এক সভার মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী ও ফারুক হোসেন তাদের নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন। এর আগে গত শুক্রবার রামচন্দ্রপুর বাজারের শ্রীকৃষ্ণের দোকানে চেয়ারম্যানের সাথে ফারুক হোসেনের অনাকাঙ্থিত ঘটনার অভিযোগে ফারুক হোসেন হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসাসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ফারুক হোসেন স্থানীয় রামচন্দ্রপুর ভূইয়া একাডেমির শিক্ষক।

সভায় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী বলেন, ফারুক হোসেন আওয়ামীলীগের লোক। শুক্রবার সে রামচন্দ্রপুর বাজারের কৃঞ্চের দোকানে আওয়ামীলীগকে গালমন্দ করে। বিষয়টি নিয়ে ঐ দোকানে আওয়ামীলীগের অন্যরা তাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে ফারুকের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আমি তাদেরকে মিলিয়ে দেই ও একত্রে নাস্তা করি। পরে কোন এক কারনে অন্য কারো প্ররোচনায় ফারুক ঐ দিন বিকেলে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় ও ঐ দিন রাতে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। যেখানে ঘটনার সাথে সাথে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে সেখানে কি করে মামলা পর্যন্ত গড়ালো সেটাই আমার প্রশ্ন। এ ছাড়া ফারুকের দায়ের করা অভিযোগের তদন্তে থানার অফিসার আসলে আমরা রোববার বিকেলে বসে ফের ফারুকের সাথে লিখিত সহকারে আপোষ নিস্পপ্তি করি।

সাংবাদিকদের কাছে ফারুক হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে যা হয়েছে তা নিতান্ত ভূল বুঝাবুঝি। এ নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। গত রোববার বিকেলে আমি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে বসে লিখিতভাবে আপোষ করেছি।
আপোষ কপি থানায় জমা দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে ফারুক হোসেন বলেন, জমা দিতে চেয়েছি তবে রাত হয়ে যাওয়ার কারনে দেয়া হয়নি।

উভয় পক্ষের শালিসদার আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ইউনিয়নের শুনাম নষ্ট করার লক্ষে একটি মহল সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি অনুধাবন করে আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসলে তারা স্ব জ্ঞানে স্ব ইচ্ছায় আপোষ নামায় স্বাক্ষর করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদদের রক্তের বিনিময়ে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ মুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা হবে : অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ

হাজীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে স্কুল শিক্ষকের দ্বন্ধের অবসান !

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি : হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজীর সাথে স্কুল শিক্ষক ফারুক হোসেনের দ্বন্ধের অবসান হয়েছে বলে উভয়ে জানিয়েছেন।

Model Hospital

সোমবার দুপুরে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই এক সভার মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী ও ফারুক হোসেন তাদের নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন। এর আগে গত শুক্রবার রামচন্দ্রপুর বাজারের শ্রীকৃষ্ণের দোকানে চেয়ারম্যানের সাথে ফারুক হোসেনের অনাকাঙ্থিত ঘটনার অভিযোগে ফারুক হোসেন হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসাসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ফারুক হোসেন স্থানীয় রামচন্দ্রপুর ভূইয়া একাডেমির শিক্ষক।

সভায় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী বলেন, ফারুক হোসেন আওয়ামীলীগের লোক। শুক্রবার সে রামচন্দ্রপুর বাজারের কৃঞ্চের দোকানে আওয়ামীলীগকে গালমন্দ করে। বিষয়টি নিয়ে ঐ দোকানে আওয়ামীলীগের অন্যরা তাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে ফারুকের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আমি তাদেরকে মিলিয়ে দেই ও একত্রে নাস্তা করি। পরে কোন এক কারনে অন্য কারো প্ররোচনায় ফারুক ঐ দিন বিকেলে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় ও ঐ দিন রাতে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। যেখানে ঘটনার সাথে সাথে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে সেখানে কি করে মামলা পর্যন্ত গড়ালো সেটাই আমার প্রশ্ন। এ ছাড়া ফারুকের দায়ের করা অভিযোগের তদন্তে থানার অফিসার আসলে আমরা রোববার বিকেলে বসে ফের ফারুকের সাথে লিখিত সহকারে আপোষ নিস্পপ্তি করি।

সাংবাদিকদের কাছে ফারুক হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে যা হয়েছে তা নিতান্ত ভূল বুঝাবুঝি। এ নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। গত রোববার বিকেলে আমি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে বসে লিখিতভাবে আপোষ করেছি।
আপোষ কপি থানায় জমা দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে ফারুক হোসেন বলেন, জমা দিতে চেয়েছি তবে রাত হয়ে যাওয়ার কারনে দেয়া হয়নি।

উভয় পক্ষের শালিসদার আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ইউনিয়নের শুনাম নষ্ট করার লক্ষে একটি মহল সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি অনুধাবন করে আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসলে তারা স্ব জ্ঞানে স্ব ইচ্ছায় আপোষ নামায় স্বাক্ষর করে।