এস এম ইকবাল : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরভার অন্দরে সরকারের যত খাস জমি রয়েছে তা চিহ্নিত করন ও উদ্ধার কাজ চলছে।
গত ৮ মার্চ চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী ফরিদগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শনে আসলে উপজেলার সকল ইউনিয়নের খাস জমি চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ ও জমি উদ্ধার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারি ও উপ-সহকারিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পৌর ভূমি কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, পৌর এলাকায় ১৪.৬৯৩৬ একর খাস ভূমির মধ্যে ১০.৫৫ একর ভূমি সু-নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পাইকপাড়া উত্তর ও পাইকপাড়া দক্ষিন ভূমি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক পাটওয়ারী জানান, পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে ৩.৪৪ একর ও দক্ষিণ ইউনিয়নে ২.৬৪৫০ একর খাস ভূমি চিহ্নিত করা হয়েছে।
সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. আব্দুল সাত্তার জানান, সুবিদপুর ইউনিয়নে ৮.০৬ একর খাম ভূমি সনাক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে উপজেলার বাকি ভূমি অফিসে এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এই উপজেলায় সরকারি খাস জমি উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হলে সরকারের বিশাল অংকের খাস জমি উদ্ধার ও সরকারি কোষাকারে রাজস্ব জমা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ভূমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি খাস জমিগুলো সু-নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না থাকায় অনেক ভূমি বেদখলে রয়েছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেও নির্দেশে সরকারি খাস ভূমি সঠিকভাবে চিহ্নিত কাজ সম্পন্ন হলে চাহিদা মোতাবেক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ পক্রিয়া লিজ প্রধান করা সম্ভব হবে। এতে সরকারি কোষাঘারে বিশাল অংকের রাজস্ব জমা হওয়ার মধ্যদিয়ে বঞ্চিত মানুষজন সুবিদা ভোগ করতে পারবে।