সজীব খান : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে বড় শাহতলীতে বৈদ্যৎতিক শর্টসার্কিটের অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাদের কয়েক লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
জানাযায়, বড় শাহতলী গ্রামের মৃত হাফেজ চৌধুরীর ছেলে মানিক চৌধুরী ও নান্টু চৌধুরীর পরিবার বসত ঘরে অবস্থান করছিলেন। হঠ্যাৎ করে বৈদ্যৎতিক শর্টসার্কিট হয়ে বাল্পপুড়ে সাথে সাথেই আগুন দাউ দাউ করে লেগে যায়। ঘরে থাকা সবাই কোন রকম বের হয়ে আসলে ও ঘরের আসবাবপত্র, টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার সব কিছুই রয়ে যায়। ঘটনারপর মানিক চৌধুরী স্ত্রী ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে ৯৯৯ নাইনে ফোন করে চাঁদপুর দমকল বাহীনিকে খবর দিলে তারা ঘটনা স্থলে ছুটে আসে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় চৌধুরী বাড়িতে আগুনের লেলিহান দেখে আমরা ছুটে আসি, এবং আগুন নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করি। অবস্থা বেগতিত দেখে স্থানীয়রা চাঁদপুর দমকল বাহীনিকে খবর দিলে দমল বাহীনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ততকক্ষে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এতে ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়। এতে তাদের পরিবারের প্রায় ১০ লাখটাকার ক্ষয় -ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়েছে।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সেপেক্টর জাকির হোসেনের নের্তৃত্বে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে আগুন একঘন্টা চেষ্টা করে আগুন পুড়ো নিয়ন্ত্রনে আনে। তাদেরকে স্থানীয়রা সার্বিক ভাবে সহযোগীতা করেন।
মানিক চৌধুরীর স্ত্রী জানান, ঘটনার সময় আমরা ঘরেই অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ ঘরের বৈদ্যৎতিক লাইট বাস্ট হয়ে আগুন লেগে যায়। এতে আমাদের ঘরে থাকা, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, খাট, স্টেলের আলমি, ফ্রিজসহ সকল কিছুই পুড়ে আঙ্গার হয়ে যায়। আমরা কোন কিছুই সড়াতে পারিনি।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সেপেক্টর জাকির হোসেন জানান, ৯৯৯ নাইনে আমাদের কাছে ফোন আসার সাথে সাথেই ছুটে আসি, এবং আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি। কি পরিমান ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে পরে অনুসন্ধান করে বের করবো।
ঘটনার সময়, চাঁদপুর পল্লীবিদ্যাৎ সমিতি-২, বারাক্কাবাদ গ্যাস অফিস ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।এ ঘটনার মানিক চৌধুরীর পরিবার ক্ষয় ক্ষতির সমক্ষিন হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের মাঝে চরম বিমর্যন নেমে আসে