এস. এম ইকবাল : দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিপাগল দামাল ছেলেরা ফরিদগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করে। পালিত হয় ফরিদগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত দিবস। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যথাযথভাবে দিবসটি পালন উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করে।
২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তিযুদ্ধ সৃতিস্তম্ব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি হরি, পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী। পরে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করেন।
একই দিন বিকেলে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির মহাসচিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব সহিদ উল্যাহ তপাদারের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জি এস তছলিম আহমেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর ডেপুটি কমান্ডার মো. সরোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য মশিউর রহমান মিটু, সদস্য সচিব শাহ আলম শেখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি রফিকুল আমিন কাজল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাছান আলী, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ এর সিনিয়র সহ- সভাপতি আহসান হাবীব নেভী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক পাটওয়ারী, আব্দুল হামিদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও জীবনদান এ পতাকার জন্যেই হয়েছে। এ পতাকাকে সমুন্নত রাখা মুক্তিযুদ্ধাদের পাশাপাশি আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মেনে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সোনার বাংলা উপহার দিতে পারি।