মতলব উত্তর ব্যুরো : মতলব উত্তরের মেঘনা নদীবক্ষে রাতের বেলায় অবাধে চলাচল করছে বালুবাহী বাল্কহেড। নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে দীর্ঘ দিন আগেই রাতের বেলায় বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন।

তারপরও জেলা প্রশাসনের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে এ সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল থেমে নেই।
এদিকে নৌ-পুলিশকে চাঁদা দিয়েই রাতের বেলায় অবাধে চলাচল করছে এ সব বাল্কহেড। পুশিকে বাল্কহেড প্রতি চাঁদার টাকা নিয়ে থাকে বলে-এমন অভিযোগ রয়েছে। আর চাঁদার বিনিময়ে নৌপথে নির্বিঘ্নে বাল্কহেড চলাচল করছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এতে করে বড় ধরনের নৌ-দুর্ঘটনার আশংকায় থাকতে হচ্ছে নৌরুটে চলাচলকারী বিভিন্ন লঞ্চ চালক ও যাত্রীদের।
ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে রাতে কিংবা সকাল বেলায় বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবোঝাই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বাল্কহেড ও যাত্রীবোঝাই লঞ্চের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে ৫জন নিহত হয়েছে। গত কয়েক মাস পূর্বে ও হতাহতের মত খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীবক্ষ হয়ে কয়েক হাজার বাল্কহেড চলাচল করে থাকে। চাঁদপুর জেলা সদরের মেঘনা নদীতে জেলা প্রশাসনের ইজারাকৃত বালু মহাল রয়েছে। বাল্কহেডগুলো ওই সব বালু মহাল থেকে দিন-রাত মিলিয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে থাকে। আর সেই বালু বোঝাই বাল্কহেড গুলো মেঘনা নদী হয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
দিনের বেলায় বাল্কহেড চলাচল নিরাপদ হলেও রাতের আঁধারে এই বাল্কহেডই হয়ে উঠছে দুর্ঘটনার কারণ। তাই দীর্ঘ দিন আগে থেকেই নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে রাতের বেলায় বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বিআইডাব্লিউটিএ।
মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ অহিদুজ্জামান বলেন, পুলিশকে চাঁদা দিয়ে রাতের বেলা বাল্কহেড চলাচল করছে-কথাটি সত্য নয়। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে নদী পথে বাল্কহেড চলাচল অনেকটা কমে গেছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পর্যন্ত বাল্কহেড নদীতে চলতে পারবে। রাত্রী বেলায় বালুবাহী বাল্কহেড সন্ধ্যার নদীতে চলতে পারবেনা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন- বিষয়টি দেখছি। স্ব-স্ব দপ্তরকে অবগত করা হবে।