এস. এম ইকবাল : পৃথিবীতে সবাই সমান ভাগ্য নিয়ে জন্মায় না। কেউ সুখে বসবাস করেন আবার কাউকে সারা জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তাদের জীবনের সংগ্রাম যেন শেষ হয় না। ভাগ্য তাদের পক্ষে কাজ করতে চায় বলেই এমন মানুষরা মনে করেন।
তেমনি একজন হলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. সাহাদাত হোসেন। জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সফলতার আশায় জীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
তার পিতা মো. মিরন ছৈয়াল। সাহাদাত হোসেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মা-বাবা-স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান এবং চার বোন নিয়ে তার সংসার। বাবা মিরণ ছৈয়াল পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইসিস রোগে ভুগছেন।
জানা গেছে, শাহাদাত হোসেন প্রতিবন্ধী হলেও সংসার চালাতে কারও কাছে হাত পাতেননি। উল্টো প্রবল ইচ্ছে শক্তি দিয়ে কাজ করে সংসার সামলাচ্ছেন। পেশায় তিনি এখন অটোরিকশা চালক। কর্মজীবন শুরু হয় নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায়। প্রথমে বাড়ির পাশে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেন। দাখিল মাদরাসা থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা-পড়াও করেছেন তিনি। বাবা রিকশা চালাতেন। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারে নিজের তিন কন্যা সন্তান আছে।
১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ-পাটওয়ারী বাজার সড়কের মীরপুর এলাকায় শাহাদাতের সঙ্গে দেখা হলে তিনি জানান, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অটোরিকশাটি কিনেছেন তিনি। তিনি প্রতিনিয়ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী হাজীগঞ্জ এবং রামগঞ্জ উপজেলায় অটো চালান। দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা আয় করেন।
তিনি আরও জানান, জীবনে তার একমাত্র স্বপ্ন সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলা। তার বড় মেয়ে স্কুলে ও মেজ মেয়ে মাদরাসায় পড়ে। তবে সরকারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা পান তিনি।