মতলব চাঁদপুর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কাদির মোল্লার নৌকার প্রচারণায় বাঁধা, কর্মীদের মারধর ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নৌকা সমর্থিত কর্মীকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়েছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোবহান সরকার সুভা। এমনটাই অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কাদির মোল্লা। এ ঘটনায় মুজাম্মেল হক বাদী হয়ে শনিবার ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বিদ্রোহী প্রার্থী ছোবহান সরকার শুভাকে প্রধান বিবাদী করা হয়েছে।
অন্যান্য বিবাদীরা হলো, আনারস মার্কার কর্মী মো. উজ্জল (৪০), মো. জহিরুল হক (৫৫), মো. এনামুল (৫০), হোসেন (৩৫), আবু জাফর (৪২), রাব্বানী (৩৮), ছাদেক ফকির (৪৫), আইনউদ্দিন (২৫), মো. আবুল কালাম (৪১), মো. জিলানী (২৮), মো. আবুল হাসান সরকার (৩০), মো. কামরুল (৩৫)।
বাদী কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাম্মেল হক বলেন, গত ২০ নভেম্বর রাত ২ টার দিকে কিছু লোক বাড়িতে এসে আমাকে ডাকাডাকি করে। ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আমার মুখমন্ডল বেঁধে আমাকে জোড় করে নিয়ে যায়। পরে মুখ খোলার পরে দেখি মিলারচর কুয়েত মসজিদের সামনের রাস্তায় সকল বিবাদীরা দাড়িয়ে আছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সোবহান সরকার সুভা সাথে সাথে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আমাকে বলে তুই নৌকার প্রচারণা করলে তোকে মেরে লাশ গুম করে ফেলবো। তখন তার নির্দেশে সাথে থাকা সকল বিবাদীরা আমাকে অতর্কিত মারধর শুরু করে। আশেপাশে সাটানো থাকা নৌকা প্রতীকের সকল ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তারা। আমাকে তারা মেরে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে আমার জ্ঞান ফেরার পর গোঙানির শব্দে মানুষ এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে নৌকা প্রতীক সমর্থিত কর্মীদের মারধর হয়রানি ও হুমকি ধামকির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তুলে ধরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন কলাকান্দা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী গোলাম কাদির মোল্লা। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মেনে আমার ইউনিয়নের সকল দলীয় নেতাকর্মী নৌকার পক্ষে কাজ করছে। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী সোবহান সরকার সুভা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। যেখানে কর্মীদের মারধর করছে। নৌকার ব্যানার পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। গোলাম কাদির মোল্লা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বার বার অবগত করার পরও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। আমার ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে একটি অশুভ শক্তি কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সহসম্পাদক আতিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, আমরা হানাহানি চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কারণ নৌকা প্রতীক শান্তির প্রতীক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত মেনে আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করছি। কিন্তু নৌকার কর্মীদেরকে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার লোকেরা হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, থানায় ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম শ্যামল, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।